বিনোদন ডেস্ক:
সানার হিজাব ও বলিউড ত্যাগ নিয়ে মুখ খুললেন স্বামী মুফতি আনাস স্বামী মুফতি আনাসের সঙ্গে সানা খান
বলিউড ত্যাগ করে মুফতিকে বিয়ে করে বেশ আলোচনায় রয়েছেন সাবেক অভিনেত্রী সানা খান। তার বলিউড ত্যাগ, ইসলামিক জীবন-যাপন ও পর্দা করা সবারই নজর কেড়েছে।
গত অক্টোবরেই ধর্মের পথে হেঁটে বিনোদন দুনিয়া ছাড়ার কথা ঘোষণা দেয়ার পর নভেম্বরেই গুজরাটের মুফতি আনাস সাঈদকে বিয়ে করেন সানা।
আর এরপরই আনাস সাঈদের সঙ্গে সানার সম্পর্ক নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা।
সামাজিকমাধ্যমে আনাস সাঈদকে ট্রলও করা হয়। অবশেষে সানার বিনোদন দুনিয়া ছাড়া ও পর্দা করা নিয়ে মুখ খুললেন গুজরাটের মাওলানা।
আনাস সাঈদের দাবি, সানা খানের বিনোদন দুনিয়া ছাড়ার পিছনে তার কোনও হাত নেই। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আনাস প্রথমবার এবিষয়ে মুখ খুললেন।
তিনি বলেন, আমি কখনোই সানাকে নির্দিষ্টভাবে জীবনযাপনের জন্য বাধ্য করিনি। । গত ৬ মাস আগে ইনস্টাগ্রামে সানা জানিয়েছিলেন তিনি হিজাব পরবেন। লোকজন ভেবেছিল, এটা হয়তবা মহামারির কারণে। কিন্তু সানা সবসময়ই কাজের জায়গা থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চেয়েছিলেন। আমি ভেবেছিলাম, ওকে কিছুটা সময় দেওয়া উচিত। তবে ও হঠাৎই বিনোদন দুনিয়া ছাড়ার কথা ঘোষণা করে দিল। এতে আমিও কিছুটা হতবাক হয়েছিলাম।
আনাস সাঈদ আরও বলেন, আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলাম, আমি সানাকে বিয়ে করতে চাই এবং তিনি আমার প্রার্থনা শুনেছিলেন। আমার মনে হয় আমি যদি অন্য কাউকে বিয়ে করতাম, হয়ত এত খুশি হতাম না।
সানা সম্পর্কে মুফতি বলেন, সে নিজে সম্পূর্ণ নয়। তবে ও আধ্যাত্মিক, ক্ষমাশীল এবং স্বচ্ছ হৃদয়ের মানুষ। আমি সর্বদা এমন একটি মেয়েকে চেয়েছিলাম যে আমার পরিপূরক এবং আমাকে সম্পূর্ণ করবে।
লোকজন এখনও আমাকে জিজ্ঞাসা করছে, আমি কীভাবে কোনও অভিনেত্রীকে বিয়ে করতে পারি? যারা এমন প্রশ্ন করছেন তারা ভীষণই সংকীর্ণ মনের। এটি আমার জীবন এবং এর বিষয়ে কারও মন্তব্য করা উচিত নয়। লোকেরা নির্দ্বিধায় ভাবতে পারে যে আমাদের মধ্যে কোনও মিল নেই, তবে আমরা জানি আমরা কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।